মানবজাতির প্রতি পবিত্র কোরআনের ১০০ উপদেশ
১।   সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না। এবং জেনেশুনে সত্য গোপন কোরো না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ৪২)
২।  সৎ কাজ নিজে করে অন্যকে করতে বলো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাওআর নিজেদের বিস্মৃত হও...? (সুরা : বাকারাআয়াত : ৪৪)
৩।   বিবাদে লিপ্ত হয়ো না
ইরশাদ হয়েছে...দুষ্কৃতকারীরূপে পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি কোরো না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ৬০)
৪।   কারো মসজিদে যাওয়ার পথে বাধা দিয়ো না
ইরশাদ হয়েছেতার চেয়ে বড় জালিম আর কেযে আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং এর বিনাশসাধনে প্রয়াসী হয়...? (সুরা : বাকারাআয়াত : ১১৪)
৫।   কারো অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছেযখন তাদের বলা হয়আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেনতা তোমরা অনুসরণ করোতারা বলেনাবরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যাতে পেয়েছিতার অনুসরণ করব...। (সুরা : বাকারাআয়াত : ১৭০)
৬।   প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না
ইরশাদ হয়েছেহে ঈমানদাররাতোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো...। (সুরা : মায়েদাআয়াত : ১)
৭।   অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভোগ করবে না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না...। (সুরা : বাকারাআয়াত : ১৮৮)
৮।   সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছে...সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ১৯০)
৯।   আল্লাহর পথে ব্যয় করো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো...। (সুরা : বাকারাআয়াত : ১৯৫)
১০।  এতিমদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করো
ইরশাদ হয়েছেমানুষ তোমাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেবলে দাওতাদের জন্য সুব্যবস্থা করা উত্তম...। (সুরা : বাকারাআয়াত : ২২০)
১১। ঋতুস্রাবের সময় সহবাস পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা ঋতুস্রাবের সময় যৌন সঙ্গম কোরো না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ২২২)
১২। শিশুকে দুই বছর বুকের দুধ খাওয়াও
ইরশাদ হয়েছেশিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাও।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৩০)
১৩। সৎ শাসক নির্বাচন করো
ইরশাদ হয়েছেসৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৪৭)
১৪। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়
ইরশাদ হয়েছেদ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৫৬)
১৫। মানুষের নিঃস্বার্থ উপকার করো
ইরশাদ হয়েছেপ্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ২৬৪)
১৬। অন্যের বিপদে সাহায্য করো
ইরশাদ হয়েছেপ্রয়োজনে সহযোগিতা করো।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৭৩)
১৭। সুদ পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছেসুদ গ্রহণ কোরো না।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৭৫)
১৮।  অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হও
ইরশাদ হয়েছেযদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। (সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮০)
১৯।   হিসাব সংরক্ষণ করো
ইরশাদ হয়েছেঋণের বিষয় লিখে রাখো।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮২)
২০।   আমানত রক্ষা করো
ইরশাদ হয়েছেআমানত রক্ষা করো।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮৩)
২১। পরনিন্দা পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছেকারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না। (সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮৩)
২২। সব নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো
ইরশাদ হয়েছেসব নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮৫)
২৩। আল্লাহ চেষ্টা অনুযায়ী প্রতিদান দেন
ইরশাদ হয়েছেআল্লাহ সাধ্যের বাইরে কারো ওপর বোঝা চাপিয়ে দেন না। সে তা-ই পায় যা তার অর্জন।
(সুরা : বাকারাআয়াত : ২৮৬)
২৪। আল্লাহ বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করেন না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
(সুরা : আলে ইমরানআয়াত : ১০৩)
২৫। সত্যের প্রতি আহ্বানকারী থাকা চাই
ইরশাদ হয়েছেতোমাদের ভেতর এমন একটি দল থাকা উচিতযারা ভালো কাজের প্রতি আহ্বান জানাবেসৎ কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে।
(সুরা : আলে ইমরানআয়াত : ১০৪)
২৬। কোমলভাষী হও
ইরশাদ হয়েছেরূঢ় ভাষা ব্যবহার কোরো না।
(সুরা : আলে ইমরানআয়াত : ১৫৯)
২৭। সৃষ্টিজগতে আল্লাহর অনুসন্ধান করো
ইরশাদ হয়েছেএই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। (সুরা : আলে ইমরানআয়াত : ১৯১)
২৮। নারী-পুরুষ সবাই তার কর্মফল পাবে
ইরশাদ হয়েছেনারী ও পুরুষ উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। (সুরা : আলে ইমরানআয়াত : ১৯৫)
২৯। প্রাপ্তদের উত্তরাধিকারের সম্পদ বুঝিয়ে দাও
ইরশাদ হয়েছেমৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের ভেতর বণ্টন করতে হবে। (সুরা : নিসাআয়াত : ৭)
৩০। নারীদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত কোরো না
ইরশাদ হয়েছেসম্পদের উত্তরাধিকারে নারীদেরও সুনির্দিষ্ট অংশ রয়েছে। (সুরা : নিসাআয়াত : ৭)
৩১। অনাথের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না
ইরশাদ হয়েছেঅনাথদের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না।
(সুরা : নিসাআয়াত : ১০)
৩২। নিষিদ্ধ নারীকে বিয়ে কোরো না
ইরশাদ হয়েছেযাদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তাদের
বিয়ে কোরো না। (সুরা : নিসাআয়াত : ২৩)
৩৩। অন্যায়ভাবে সম্পদ হরণ কোরো না
ইরশাদ হয়েছেঅন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ কোরো না। (সুরা : নিসাআয়াত : ২৯)
৩৪। পুরুষ পরিবারের অভিভাবক হবে
ইরশাদ হয়েছেপরিবারের অভিভাবকত্ব ও অর্থ ব্যয়
পুরুষের দায়িত্ব। (সুরা : নিসাআয়াত : ৩৪)
৩৫। সদাচারী হও
ইরশাদ হয়েছেঅন্যের প্রতি সদাচারী হও।
(সুরা : নিসাআয়াত : ৩৬)
৩৬। কৃপণ হয়ো না
ইরশাদ হয়েছেকার্পণ্য কোরো না এবং অন্যকে কার্পণ্য শিক্ষা দিয়ো না। (সুরা : নিসাআয়াত : ৩৭)
৩৭। বিদ্বেষ পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছেবিদ্বেষী হয়ো না।
(সুরা : নিসাআয়াত : ৫৪)
৩৮। ন্যায়বিচার করো
ইরশাদ হয়েছেমানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করো।
(সুরা : নিসাআয়াত : ৫৮)
৩৯। মানুষ হত্যা কোরো না
ইরশাদ হয়েছেপরস্পরকে হত্যা কোরো না।
(সুরা : নিসাআয়াত : ৯২)
৪০। বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের পক্ষপাত কোরো না
ইরশাদ হয়েছেবিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক কোরো না। (সুরা : নিসাআয়াত : ১০২)
৪১। সত্যের ওপর অবিচল থাকো
ইরশাদ হয়েছেন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো।
(সুরা নিসাআয়াত : ১৩৫)
৪২। অঙ্গীকার পূর্ণ করো
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো। (সুরা মায়িদাআয়াত : ১)
৪৩। সৎকাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো
ইরশাদ হয়েছেসৎকাজ ও খোদাভীতির ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। (সুরা মায়িদাআয়াত : ২)
৪৪। সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহযোগিতা কোরো না
ইরশাদ হয়েছেআর তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কোরো না। (সুরা মায়িদাআয়াত : ২)
৪৫। সত্যের অনুগামী হও
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
(সুরা মায়িদাআয়াত : ৮)
৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও
ইরশাদ হয়েছেপুরুষ চোর ও নারী চোরতাদের হাত কেটে দাও। এটা তাদের কৃতকর্মের ফল এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক দণ্ড। (সুরা মায়িদাআয়াত : ৩৮)
৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের পেছনে শ্রম ব্যয় কোরো না
ইরশাদ হয়েছেতাদের অনেককেই তুমি দেখবে পাপেসীমালঙ্ঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর। তারা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট। (সুরা মায়িদাআয়াত : ৬২)
৪৮। মাদকদ্রব্য বর্জন করো
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! নিশ্চয় মদজুয়ামূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তুশয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো। (সুরা মায়িদাআয়াত : ৯০)
৪৯। জুয়া খেলো না
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! নিশ্চয় মদজুয়ামূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তুশয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো। (সুরা মায়িদাআয়াত : ৯০)
৫০। পৃথিবীতে ভ্রমণ করো
ইরশাদ হয়েছেবলুন! তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করোঅতঃপর দেখোযারা সত্যকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল! (সুরা আনআমআয়াত : ১১)
৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়
ইরশাদ হয়েছেযদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথামতো চলোতবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।
(সুরা : আনআমআয়াত : ১১৬)
৫২। সঠিক ওজনে লেনদেন করো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা ন্যায্য পরিমাপ ও ওজন পূর্ণ করবে।
(সুরা : আনআমআয়াত : ১৫২)৫৩. অহংকার পতনের মূল
ইরশাদ হয়েছেতুমি এই স্থান থেকে নেমে যাও। এখানে থেকে তুমি অহংকার করবেতা গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা : আরাফআয়াত : ১৩)
৫৪। নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো
ইরশাদ হয়েছেহে আদম সন্তানতোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো। (সুরা : আরাফআয়াত : ৩১)
৫৫। অপচয়কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা খাও এবং পান করো। তবে অপচয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা : আরাফআয়াত : ৩১)
৫৬। অন্যের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো
ইরশাদ হয়েছেআপনি ক্ষমাপরায়ণ হোন। (সুরা : আরাফআয়াত : ১৯৯)
৫৭। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবে না
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরাযখন তোমরা কাফির বাহিনীর মুখোমুখি হবে তখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরো না। (সুরা : আনফালআয়াত : ১৫)
৫৮। নিরাপত্তাপ্রত্যাশীদের নিরাপত্তা দাও
ইরশাদ হয়েছেমুশরিকদের কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দেবেনযেন সে আল্লাহর বাণী শুনতে পারে। (সুরা : তাওবাআয়াত : ৬)
৫৯। আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিকে ভালোবাসেন
ইরশাদ হয়েছেসেখানে রয়েছে এমন মানুষযারা পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। (সুরা : তাওবাআয়াত : ১০৮)
৬০। আল্লাহঅনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না।
(সুরা : আরাফআয়াত : ১৩)
৬১। অজ্ঞতাবশত ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করেন
ইরশাদ হয়েছেঅতঃপর যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে তারা পরে তওবা করলে এবং নিজেদের সংশোধন করলে তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি ক্ষমাশীলপরম দয়ালু। (সুরা : নাহলআয়াত : ১১৯)
৬২। ইসলাম প্রচারে কৌশলী হও
ইরশাদ হয়েছেতুমি আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো। তাদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় বিতর্কে লিপ্ত হও। নিশ্চয় তোমার প্রভু পথভ্রষ্টদের সম্পর্কে সবিশেষ অবগত এবং সত্য পথের অনুসারীদের ব্যাপারেও সর্বোত্তম জানেন। (সুরা : নাহলআয়াত : ১২৫)
৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না
ইরশাদ হয়েছেযে সৎপথ অনুসরণ করে সে নিজের কল্যাণের জন্য সৎপথ অনুসরণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে নিজের ধ্বংসের জন্যই তা করবে। কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। আমি রাসুল প্রেরণ করার পূর্ব পর্যন্ত কাউকে শাস্তি প্রদান করি না। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ১৫)
৬৪। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কোরো
ইরশাদ হয়েছেআপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেনতিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করতে এবং মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ২৩)
৬৫। মা-বাবার সঙ্গে মন্দ ব্যবহার কোরো না
ইরশাদ হয়েছেতাদের একজন বা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়তাদের উফ বলো নাতাদের ধমক দিয়ো নাতাদের সঙ্গে বিনম্র ভাষায় কথা বলো।
(সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ২৩)
৬৬। জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো
ইরশাদ হয়েছেতুমি তোমার হাত তোমার গ্রীবায় আবদ্ধ করে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণ প্রসারিতও কোরো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে যাবে। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ২৯)
৬৭। সন্তান হত্যা কোরো না
ইরশাদ হয়েছেদারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা সন্তান হত্যা কোরো না। তাদের এবং তোমাদের আমিই জীবিকা প্রদান করি। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা মহাপাপ। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ৩১)
৬৮। অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না
ইরশাদ হয়েছেব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ৩২)
৬৯। না জেনে কোনো কিছুর অনুসরণ করবে না
ইরশাদ হয়েছেযে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয় কানচোখহৃদয়এর প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। (সুরা : বনি ইসরাইলআয়াত : ৩২)
৭০। নম্র ভাষায় কথা বলো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা তার সঙ্গে নম্র ভাষায় কথা বলবে। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় পাবে।
(সুরা : ত্বহাআয়াত : ৪৪)
৭১। অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকো
ইরশাদ হয়েছে(মুমিন তারা) যারা অনর্থক ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে। (সুরা : মুমিনুনআয়াত : ৩)
৭২। অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ কোরো না
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! অন্যের ঘরে অনুমতি গ্রহণ বা সালাম প্রদান না করে প্রবেশ কোরো না। এটাই তোমাদের জন্য উত্তমযদি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।
(সুরা : নুরআয়াত : ২৭)
৭৩। লজ্জা ও শালীনতার সঙ্গে চলো
ইরশাদ হয়েছেআপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম। তারা যা করে আল্লাহ নিশ্চয়ই তা জানেন। এবং আপনি মুমিন নারীদের বলুনতারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করেতারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করেতবে ওইটুকু ব্যতীত যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়। (সুরা : নুরআয়াত : ২৭)
৭৪। মা-বাবার ঘরে প্রবেশের আগেও অনুমতি নাও
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! তোমাদের মালিকাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা এখনো বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তিন সময় তোমাদের ঘরে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নেয়ফজরের নামাজের পূর্বেদুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ এবং এশার নামাজের পর। এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়। (সুরা : নুরআয়াত : ৫৮)
৭৫। বিনম্র হয়ে চলাফেরা করো
ইরশাদ হয়েছেরহমানের বান্দা তারাইযারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে। (সুরা : ফোরকানআয়াত : ৬৩)
৭৬। মানুষের প্রতি দয়া করো
ইরশাদ হয়েছেআল্লাহ তোমার প্রতি যেমন অনুগ্রহ করেছেনতুমিও তেমন অনুগ্রহ করো। পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না। (সুরা : কাসাসআয়াত : ৭৭)
৭৭। সংকটকালেও আল্লাহর পথে অটল থাকো
ইরশাদ হয়েছেতোমার প্রতি আল্লাহর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে কিছুতেই সেগুলো থেকে বিমুখ না করে। তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রতি আহ্বান করো এবং কিছুতেই মুশরিকদের দলভুক্ত হইয়ো না। (সুরা : ফোরকানআয়াত : ৮৭)
৭৮। সমকামিতা জঘন্যতম অপরাধ
ইরশাদ হয়েছেতোমরাই তো পুরুষে উপগত হচ্ছোতোমরাই ডাকাতি করে থাকোতোমরাই তোমাদের মজলিসে প্রকাশ্যে অপকর্ম করে থাকো। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বললআমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি নিয়ে এসোযদি তুমি সত্যবাদী হও।
(সুরা : আনকাবুতআয়াত : ২৯)
৭৯। সৎ কাজের আদেশ করো
ইরশাদ হয়েছেহে পুত্র! নামাজ আদায় করোসৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করো। বিপদে ধৈর্য ধারণ করো। এটাই তো দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
(সুরা : লোকমানআয়াত : ১৭)
৮০। মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না
ইরশাদ হয়েছেঅহংকারবশত তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
(সুরা : লোকমানআয়াত : ১৮)
৮১। কণ্ঠস্বর নিচু রাখো
ইরশাদ হয়েছেতুমি সংযতভাবে পথ চলো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। নিশ্চয়ই গাধার স্বর সর্বাধিক শ্রুতিকটু।
(সুরা লোকমানআয়াত : ১৯)
৮২। নারী অশালীনভাবে নিজেকে প্রদর্শন করবে না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা ঘরে অবস্থান করো এবং পূর্ববর্তী জাহেলি (বর্বর) যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (সুরা আহজাবআয়াত : ৩৩)
৮৩। অপরাধ যত বড় হোক আল্লাহ ক্ষমা করবেন
ইরশাদ হয়েছেবলুন! হে আমার বান্দাগণ তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছতোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহই ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা ঝুমারআয়াত : ৫৩)
৮৪। আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করোতোমাদের ওপর শাস্তি আসার আগেযখন তোমাদের সাহায্য করা হবে না।
(সুরা ঝুমারআয়াত : ৫৪)
৮৫। মন্দের বিপরীতে ভালো করো
ইরশাদ হয়েছেভালো-মন্দ কখনো সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করো ভালোর দ্বারা। ফলে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা আছেসে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।
(সুরা হা মিম সাজদাআয়াত : ৩৪)
৮৬। পরামর্শ করে কাজ করো
ইরশাদ হয়েছে(মুমিনরা) পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করে। (সুরা শুরাআয়াত : ৩৮)
৮৭। আল্লাহ আপস পছন্দ করেন
ইরশাদ হয়েছেমুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা ভাইদের ভেতর শান্তি স্থাপন করো আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। (সুরা হুজরাতআয়াত : ১০)
৮৮। কাউকে উপহাস করো না
ইরশাদ হয়েছেহে মুমিনরা! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করেকেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে তার চেয়ে উত্তম হতে পারে। কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে উপহাসকারী নারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।
(সুরা হুজরাতআয়াত : ১১)
৮৯। সন্দেহপ্রবণতা ভালো নয়
ইরশাদ হয়েছেমুমিনরা অধিক পরিমাণে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই কিছু কিছু সন্দেহ পাপতুল্য। (সুরা হুজরাতআয়াত : ১২)
৯০। পরনিন্দা করো না
ইরশাদ হয়েছেতোমরা পরস্পরের অনুপস্থিতিতে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবেবস্তুত তোমরা তা ঘৃণা করো। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা হুজরাতআয়াত : ১২)
৯১। সম্মানের ভিত্তি খোদাভীতি
ইরশাদ হয়েছেহে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে। অতঃপর তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রেযাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব কিছুর খবর রাখেন। (সুরা : হুজরাতআয়াত : ১৩)
৯২। অতিথির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো
ইরশাদ হয়েছেআপনার নিকট ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের ঘটনা বিবৃত হয়েছেযখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বললসালাম। উত্তরে তিনি বললেনসালাম। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর ইবরাহিম তার নিকট গেল এবং একটি মাংসল গরুর বাছুর ভাজা নিয়ে এলো এবং তাদের সামনে রাখল। (সুরা : জারিয়াতআয়াত : ২৪-২৭)
৯৩। দাতব্যকাজে অর্থ ব্যয় করো
ইরশাদ হয়েছেতোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করো এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন তা থেকে ব্যয় করো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও ব্যয় করেতাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। (সুরা : হাদিদআয়াত : ৭)
৯৪। বৈরাগ্যবাদ মানুষের সৃষ্টি
ইরশাদ হয়েছেবৈরাগ্যবাদ এটা তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি তাদের এই বিধান দিইনি। অথচ তারা এটাও ঠিকমতো পালন করেনি। (সুরা : হাদিদআয়াত : ২৭)
৯৫। আলেমদের আল্লাহ মর্যাদা দান করেছেন
ইরশাদ হয়েছেতোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। তোমরা যা করো আল্লাহ তা সম্মুখ অবগত।
(সুরা : মুজাদালাআয়াত : ৫৮)
৯৬। অমুসলিমদের সঙ্গেও উত্তম আচরণ করতে হবে
ইরশাদ হয়েছেযারা দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ মাতৃভূমি থেকে বের করে দেয়নিতাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেননি। (সুরা : মুমতাহিনাআয়াত : ৮)
৯৭। ঋণদাতার জন্য রয়েছে পুরস্কার
ইরশাদ হয়েছেযদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করোতিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তিনি তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহীধৈর্যশীল। (সুরা : তালাকআয়াত : ১৭)
৯৮। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো
ইরশাদ হয়েছেনিশ্চয় আপনার প্রতিপালক জানেন যে আপনি জাগরণ করেন কখনো রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকখনো অর্ধাংশ এবং কখনো এক-তৃতীয়াংশজাগে তোমার সঙ্গে যারা আছে তাদের একটি দলও। আল্লাহই নির্ধারণ করেন দিন-রাতের পরিমাণ। (সুরা : মুজাম্মিলআয়াত : ২০)
৯৯। ভিক্ষুকদের ধমক দিয়ো না
ইরশাদ হয়েছেএবং তুমি ভিক্ষুককে ধমক দিয়ো না। (সুরা : দুহাআয়াত : ১০)
১০০। আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য
ইরশাদ হয়েছেবলুন! আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়তিনি অমুখাপেক্ষীতিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। (সুরা : ইখলাস)

যদি কোরআন অনুবাদ শিখতে চান। তাহলে নিচে ক্লিক করুন